আলোর বার্তা ডেস্ক ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৬:৩৫ পি.এম
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রিফাত আহমেদ বর্তমানে ব্রাজিলে অবস্থান করছেন। ন্যাশনাল হাই কোর্ট অব ব্রাজিলের প্রধান বিচারপতি আন্তোনিও হেরমান বেঞ্জামিনের আমন্ত্রণে তিনি ‘Exchanges on Matters of Mutual Judicial Interest’ শীর্ষক এক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। এই সফরে তিনি বিচারিক সংস্কার, পরিবেশগত ন্যায়বিচার, বিচারিক স্বাধীনতা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনা করছেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ড. রিফাত আহমেদ ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় অবস্থিত ন্যাশনাল হাই কোর্ট অব ব্রাজিল (Superior Tribunal de Justiça - STJ) পরিদর্শন করেন। ব্রাজিলের সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, এটি দেশটির সর্বোচ্চ আপিল আদালত। পরিদর্শনকালে তিনি ব্রাজিলের প্রধান বিচারপতি আন্তোনিও হেরমান বেঞ্জামিনের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
বৈঠকে দুই দেশের বিচার বিভাগের মধ্যে পারস্পরিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিশেষ করে, বিচার প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তির ব্যবহার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) প্রয়োগ, এবং উভয় দেশের বিচার বিভাগের ভূমিকা জোরদার করার বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
দুই দেশের বিচারপতি একমত হন যে, একবিংশ শতাব্দীতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন ধরনের আইনি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিচার বিভাগীয় আন্তঃসম্পর্ক অতীতের চেয়ে অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক।
আলোচনায় বিচার প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল রূপান্তরের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। ব্রাজিলের প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিকে আশ্বস্ত করেন যে, ই-ফাইলিং, ডিজিটাল কেস ম্যানেজমেন্ট, ভিডিও কনফারেন্সিং ও অনলাইন বিরোধ নিষ্পত্তির মতো প্রযুক্তি প্রবর্তনে বাংলাদেশের আদালত ব্যবস্থাপনার ডিজিটালাইজেশনে ব্রাজিল সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করবে।
এছাড়াও, আধুনিক বিচার ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়। উভয় বিচারপতি মত প্রকাশ করেন যে, AI-চালিত কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হলে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে। তারা AI-এর মাধ্যমে আইনজীবী ও বিচারকদের জন্য দ্রুত ও প্রাসঙ্গিক নজির অনুসন্ধানের বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর কথা বলেন।
বৈঠকে ব্রাজিলের বিচার ব্যবস্থায় নাগরিকের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য যে ধরনের বিচারিক ন্যায়পাল (Judicial Ombudsman) রয়েছেন, সেই আদলে বাংলাদেশে একটি গণকেন্দ্রিক ‘অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা’ (grievance redressal mechanism) চালু করা যায় কিনা, তা নিয়েও আলোচনা হয়। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে ব্রাজিলের সংবিধানে সংশোধনী এনে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়।
এর আগে গত ৩ মার্চ, ২০২৫ তারিখে ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত একটি সেমিনারে ব্রাজিলের প্রধান বিচারপতি বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের বিচার ব্যবস্থার মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে।
ড. সৈয়দ রিফাত আহমেদ ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত ব্রাজিলে অবস্থান করবেন এবং দুই দেশের বিচার বিভাগের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
ব্রাজিলে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি: বিচারিক সহযোগিতায় ফলপ্রসূ আলোচনা
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বিচার বিভাগের প্রতিষ্ঠানগত স্বাধীনতা একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা নয়: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতির সাথে চীনা রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বিচার বিভাগকে স্বতন্ত্রীকরণে কাউন্সিল গঠনের দারপ্রান্তে
উপদেষ্টার মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতির শোক
জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা নিবেদন
রাষ্ট্রপতির সাথে নবনিযুক্ত বিচারপতিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ
প্রধান বিচারপতির সাথে স্পেনের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
জুডিশিয়াল এপোয়েনমেন্ট কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব
সুপ্রিম কোর্টের হটলাইন নাম্বার চালু : পাওয়া যাচ্ছে আইনি সহায়তা
সাবেক বিচারপতির মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতির শোক
ছুটিতে পাঠানো বিচারকদের ফিরিয়ে আনতে লিগ্যাল নোটিশ
রিজিওনাল কনফারেন্সের কি - নোট স্পিকার বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি
৭০ হাজার টাকার বিমানভাড়া হজ্ব প্যাকেজে ১ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা নিয়ে যা বললো সিনিয়র আইনজীবীরা