গণভোটের সময় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়নি

দীর্ঘ আলোচনা সত্ত্বেও নির্বাচনের আগে না পরে গণভোট হবে, তা নিয়ে দলগুলো বিভাজিত থাকায় অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না বলে অভিযোগ করেছেন। ফলস্বরূপ, কয়েকটি দল এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অথবা সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে।

রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে প্রণীত ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ বাস্তবায়নের পদ্ধতি, বিশেষ করে গণভোট কখন হবে—এই ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলো শেষ পর্যন্ত একমত হতে পারেনি। গতকাল (বুধবার) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে এই চিত্র পাওয়া যায়।

বিএনপিসহ অধিকাংশ দল জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট এতে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় কমবে, ভোটারের অংশগ্রহণ বাড়বে, এবং জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল জাতীয় নির্বাচনের আগে নভেম্বরে গণভোট গণভোট ও নির্বাচন আলাদা বিষয়। আগে গণভোটের রায় পেলে সেই রায়ের ভিত্তিতে পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলো ও নির্বাচন হবে। একসঙ্গে হলে একটার ভাগ্যের সঙ্গে আরেকটার ভাগ্য মিলে যাওয়ার ঝুঁকি থাকবে।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, "জুলাই সনদ নিয়ে ১০ অক্টোবরের মধ্যে সরকারের কাছে কমিশনের চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দেওয়া হবে এবং ১৫ থেকে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদে দলগুলোর স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার লক্ষ্য রয়েছে।" তিনি আশা প্রকাশ করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট একটি প্রস্তাব পেলে কমিশন সেটাই সরকারের কাছে উপস্থাপন করবে।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও জানান, আগামী ১৫ বা ১৭ তারিখের মধ্যে জুলাই সনদের ঐতিহাসিক দলিলে স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে এবং ১৮-১৯ তারিখের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। কমিশন খুব শিগগিরই সরকারের কাছে এই প্রস্তাবনা পাঠাবে।